নিউইয়র্কে আগামী ২২ মে থেকে তিন দিনব্যাপী ২৪তম আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলা শুরু হচ্ছে। বইমেলার উদ্বোধন করবেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বাংলাদেশের একাধিক বিশিষ্ট লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী ইতিমধ্যে মেলায় অংশ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক অনুপম সেন, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি আসলাম সানি, লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর এবং কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজি। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা লেখিকা শারমিন আহমেদও মেলায় তাঁর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসছেন লেখক ও বিশ্বভারতীর পরিচালক রাম কুমার মুখোপাধ্যায়।
ঢাকায় চাপাতির আঘাতে নিহত বিশিষ্ট লেখক অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাশিদা আহমেদ বন্যারও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা এ বছরের বইমেলায় অংশ নিচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে মাওলা ব্রাদার্স, সময় প্রকাশন, অনন্যা, বাংলা প্রকাশ, প্রীতম প্রকাশ, ধ্রুবপদ ও গতিধারা। মেলায় প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের জন্য প্রকাশকদের পাঠানো বই ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলার প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার প্রথম আলোকে মেলাসংক্রান্ত এসব তথ্য জানিয়েছেন। রোকেয়া হায়দার বলেন, বাংলাদেশের বাইরে নিউইয়র্কের বইমেলা সর্ববৃহৎ। একটানা ২৪ বছর বাংলা বইমেলা অনুষ্ঠানের এই নজির বাংলাদেশের বাইরে অন্য কোথাও নেই।
রোকেয়া হায়দার জানান, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো এই মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে তাদের উপস্থিতির ব্যাপারটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনায় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি সাংস্কৃতিক দল এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। উদ্বোধনী দিনে মেলার পক্ষ থেকে বিশিষ্ট মার্কিন চলচ্চিত্রকার ও একাত্তরের সহযোদ্ধা লেয়ার লেভিনকে সম্মাননা জানানো হবে। এদিনের অনুষ্ঠানের অন্য আকর্ষণ হবে প্রবাসে বড় হওয়া বাঙালি ছেলেমেয়েদের পরিবেশনায় ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। এটি হবে ১৯৭১-এ ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে জর্জ হ্যারিসন ও রবিশঙ্কর আয়োজিত কনসার্টের প্রতি নতুন প্রজন্মের বাঙালিদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে রোকেয়া হায়দার জানান, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের এই বইমেলার শেকড় বাংলাদেশের মাটিতে প্রোথিত। এই সংগঠনটি ১৯৯২ সালে জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনে শহীদ মিনার স্থাপন করে। তখন থেকেই আন্তর্জাতিক বলয়ে একুশকে তুলে ধরার পাশাপাশি উত্তর আমেরিকায় বাংলা বইয়ের প্রচার ও প্রসারে চেষ্টা করে যাচ্ছে সংগঠনটি ।
Leave a Reply